আসছে রঙচটা মানুষ, ফাটলধরা মানুষ,শ্যাওলাপড়া মানুষ, মচকানো মানুষ, পোকাধরা মানুষ,ভাঙ্গা মানুষ, পচে যাওয়া মানুষ,ঝুললাগা মানুষ, চল্টাওঠা মানুষ, তালিমারা মানুষ, জংধারা মানুষ, উইলাগা মানুষ। রাশেদের কি ঘেন্না ধরে যাচ্ছে মানুষে? ঘেন্না ধরলে চলবে না,এটা ঘেন্নার দেশ নয়,ভালবাসার দেশ,রাশেদকে ভালবাসতে হবে।এখানে সবাই মানবপ্রেমিক, রাশেদকেও মানবপ্রেমিক হতে হবে।এজন্যেই রাজনীতিকদের রাশেদ এতো শ্রদ্ধা করে,যাদের একবার দেখেই রাশেদের ভয় আর গোপনে ঘেন্না লাগছে,তাদের জন্য ভালবাসায় ঘুম হয় না দরদী রাজনীতিকদের, তবে এখন একটু ঘুমোনের সুযোগ পেয়েছে, মুক্তি পেয়েছে ভালবাসার দায় থেকেও; ওই ভার কাধে তুলে নিয়েছে ভাড়টি,সে এখন প্রচন্ডভাবে মানুষ ভালবেসে চলছে,ভালবাসার ঘোড়ে ঘুমাতেও পারছে না।কোন কারখানায় এরা উৎপন্ন হয়? সব কুটিরশিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে বা ধ্বংসের মুখে বলে শুনে আসছে রাশেদ অনেকদিন ধরে,শুধু একটি কুটিরশিল্প চলছে দিনরাত; রাশেদ তাতের খটখট শব্দ শুনতে শুরু করে,খটখট করে তাঁত চলছে,খটখট খটাখট,মেয়েমানুষের উপর পুরুষমানুষ, খটাখট খটখট,পুরুষমানুষের নিচে মেয়েমানুষ, খটাখট খটাখট,মেয়েমানুষের উপর পুরুষ মানুষ, উৎপন্ন হচ্ছে বাঙ্গালী,বাংলাদেশী...........। তাই ভালবাসতে হবে, ভালবাসার উপড়ে আর কিছু নেই।রাশেদের ঘেন্না লাগছে,সে জানে ঘেন্না লাগলে চলবে না; কেউ ঘেন্না করে না এখানে,ঘেন্না করা পাপ,সবাই এখানে ভালবাসে,রাশেদকেও ভালবাসতে হবে।কিন্তু নানুষকে যে আর মানুষ মনে হচ্ছে না রাশেদের মনে হচ্ছে অশ্লীল সঙ্গম,তার শরীর ঘিনঘিন করতে থাকে; দৌড়াতে ইচ্ছে করছে তার,সে এমন কোথাও যেতে চায় যেখানে সঙ্গম নেই।- হুমায়ুন আজাদ
Post a Comment