Header Ads

হাস্যপ্রিয় বন্ধু

চিঠির প্রথমেই শীতের বিকালের শীত শীত শুভেচ্ছা রইল। সেই সকাল থেকে চিন্তা করছিলাম একটা চিঠি লিখব কিন্তু এত ঠাণ্ডার কারণে লিখতেও পারছিলাম না। আর যে চিঠিটা লিখব সেটা পড়ে আপনার না আবার মনে বড় বড় ছয় সাতটা পাথর জমে তখন কি হবে? আমি তো কোন কিছু লিখতে বসলে যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি। ডিলেট করতে যে ইচ্ছাই করে না। আর কারো মন খুশী করার জন্য কিছু লিখতেও তো যে আমি পারি না। তাই একটু ভয়ও করছিলো। কিন্তু পরে চিন্তা করলাম আমার চিঠি পরে আপনার মনে ছয়টা কেন কোটিটা পাহার জমলেও আমার কি আসে যাবে! তাই ভেবে লিখতে শুরু করলাম।
.
এই যে চিতপটাং লোক কেমন আছেন? ভাল থাকুন আর না থাকুন চিঠিটা পড়ে যে ভাল থাকবেন না তার ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছি।
.
আচ্ছা চিতপটাং মানুষ, একটা কথা বলেন তো, আমার চিঠিতে হাসির এমন কী থাকে যা পড়েই আপনি হাসেন। সবাই তো বলে আমার চিঠিগুলো পড়ে কারো মনের কষ্টগুলো নাকি দ্বিগুণ না না চারগুণ হয়ে নাকি আঘাত করে। আর আপনি হাসতে থাকেন। সেদিন নাহারের মোবাইলে দেখলাম আপনার একটা হাস্যেজ্জ্বল ছবি। তাও আবার ঘাসের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছেন। কাহিনীটা কি মহাশয়।
.
আমার মনে হয় কি? আমার চিঠির চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও হয়ত আপনার বাস্তবিক জীবনের স্মৃতি পটে সেগুলো হয়ত রেখাপটে উৎজ্জ্বোল।
.
মনে হয় না হয়ত সত্য হয়ত বা এটাও আমার মনের কল্পনা। তবু আমি খুবই হতাশ চিঠিগুলো পড়ে আপনার এতো হাসি কোথা থেকে আসে। একটু বলবেন? যদি আপনার হাসি পায় তাহলে বাকীরা কষ্ট কেন পায়! কেন!
.
তবুও যে এই আধুনিক যুগে আমার এই বোকা বোকা পত্রগুলো পড়ে আপনি হাসতে পারছেন তাতেই আমি ছোটখাট একটা অস্কার পেয়ে গেলাম মনে করছি। সবাই বলে আমি নাকি কারো হাসির কারণ হতে পারবো না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার চিঠিগুলো পড়ার জন্য। আর এভাবে হাসবেন সব সময়। আমি আপনার এই হাসিতে গড়াগড়ির খাবার ছবিটা বিটিবির এক সময়ের আলোচিত অনুষ্ঠান belive it's or not এবং পরিপ্রেক্ষিতে পাঠাবো। আর লিখব না। ভাল থাকবেন।
.
শুভরাত্রী। 

No comments