অপ্রিয় সরোয়ার,
আজ দীর্ঘ ১৮ বছরের পর তোমায় দেখলাম যদিও তুমি আমায় দেখ পগারগার হলে। তাও বলবো একবার যদি ভুলগুলো স্বীকার করে ফিরে তাকাতে মনে হয় না তুমি ভুত দেখতে। কি চিঠিটা পড়ো এভাবে তাকিয়ে কেনো আছে? যদি ভুতই না দেখলে তাহলে পালালে কেন শুনি। দেখ সারোয়ার, তুমি বিশ্বপ্রেমিক হতে পারো, স্বপ্নের ভান্ডার হতে পার কিন্তু ভাবলে কী করে যে তোমার দেখানো স্বপ্ন দেখে এখনো সবাই তোমার প্রত্যাশায় পথ চেয়ে থাকবে? সবাই তো আর নিজেকে তোমার মতন টি টুয়েন্টির খেলোয়ার মনে করে না। তাই না। .
এত বছর তোমাকে মনেই ছিল না কিন্তু আজ যখন দেখলাম তোমায় তখন সবগুলো কথা মনের ফ্রেমে ভেসে উঠলো। আচ্ছা, তুমি কি এখনো পাড়ার প্রোগ্রামে গান করো, আচ্ছা তুমি কি এখনো ঝুম বৃষ্টিতে ফুলবল খেলো, আচ্ছা তুমি কি সেই আগের মতো সেহেরী খেয়ে দল বেঁধে নামায পরতে যাও, আচ্ছা তুমি কি, না থাক। মনে হয় না আগের সেই সুন্দর মনটা আর আছে। থাকবে কি করে! যা যা করলে! আচ্ছা তোমার কী সুমির কথা মনে পড়ে? শুধু সুমি কেন? তমা, রিয়া, ঝুমা, সিমা, তুনা, জিয়া, রেখা আরো নাম না জানা আপুদের মনে আছে তোমার! খুব অবাক লাগে যখন ভাবি যে একটা মানুষ হয়ে তুমি এতোগুলো রিলেশন কী করে চালিয়ে নিয়ে ছিলে। কী করে সম্ভব ছিল জানি না। জানো সরোয়ার তোমার সহকারী হয়ে কত আপুকে যে চিঠি দিয়েছি মনে পরে তোমার। তোমার চিঠিগুলো কিন্তু আমিই লিখে দিতাম কারন তুমি যে ছিলে বকলম। এটা আমি জানতাম মেয়েগুলো তো জানতো না। তোমার স্টাইল, কথার মায়ায় বোকা মেয়েগুলো পটে যেতো। এত বোকা কেন মেয়েগুলো!
.
গত সপ্তাহে বড় ফুপ্পি আমার জন্য একটা ছেলে দেখেছিল। কিন্তু তোমার কারণে ছেলেপক্ষ বাড়ী এসে অপমান করে গেলো। কি ভাবছো! মেয়েটা বলে কি, পাগল হলো নাকি। এখনো হইনি হবো হয়ত এক সময়। তাও তোমার কারণে। কেন জানো? আচ্ছা আগে বলো নিলা আপাকে মনে আছে কি? আরে থুরি তুমি তো তাকে রংধনু ওরফে রুনু বলে ডাকতে। কত বছর সময় নিয়ে আপাকে পটিয়ে ছিলে। বাবুর নামটাও নাকি ঠিক করে নিয়েছিলে। এমন কি ঘটেছিলো যে রুনু আপাকে ছেরে দিলে এটা জানার হয়ত অধিকার নেই কিন্তু জানো তোমার কারনে পুরো এলাকায় মুখ দেখানো যায় না। থাক এসব আসল কথাটা বলি, ফুপি যে ছেলেটা ঠিক করেছিল তিনি রুনু আপার ছোট ভাই। আর আমি বাচ্চাকালে তোমার সাগরেদ ছিলাম বলে কোনো ছেলের পরিবার আমাকে পছন্দ করে না। নিজেতো ভালোই আছো শুনলাম! এবার তোমার হাজার হাজার সাগরেদদের নিয়ে ভাবো সময় থাকতে। তা না হলে কিন্তু!
.
শুনলাম সহজ- সরল বোকা একটা আপুকে ভুলিয়ে- ভালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছো। যাই করো এখন যদি আগের মতো করো তবে কিন্তু আমরা তোমাকে ছাড়ব না। তোমাকে অনেক মূল্য চুকাতে হবে। কি করব জানো? রাহা একটা বুদ্ধি দিয়েছে। এখন নাকি সব কিছু ফেসবুকে ভাইরাল হয়, তাই ও বলল, তোমার কোটি কোটি চিঠি আমরা মানে তোমার সাগরেদরা তোমার প্রাক্তনদের থেকে নিয়ে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে ভাইরাল করবে। তাই এবার সাবধান থেকো সরোয়ার ভাই-য়া।
.
আমার চিঠি পড়ে যদি রাগ হয় তবে ওযু করে নামায পড়ে নিও।
আমরা সবাই ভালো আছি। তুমিও ভাবীকে নিয়ে ভালো থেকো। azom
Post a Comment