আম নামানোর অপেক্ষায় বাগান মালিকরা

আম নামানোর দিনক্ষণের অপেক্ষায় বরেন্দ্র অঞ্চলের বাগান মালিকরা। ভালো উৎপাদন ও দামের আশায় থোকা থোকা আমে সকাল-সন্ধ্যায় পানি দিচ্ছেন বাগানিরা। শেষ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাড়ন্ত আম আরো সতেজ ও দ্রুত বেড়েছে।
শেষ পর্যন্ত ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সময়ের আগেই যেন বাগান থেকে আম বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।

বরেন্দ্র'র বাগান মালিকরা এখন দিনক্ষণের অপেক্ষায় আছেন গাছ থেকে আম নামানোর। তাই এসব বাগানে শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ততা বেড়েছে। এবার বরেন্দ্র'র বাগান গুলোতে বেশ আগেভাগেই দেখা দেয় আমের মুকুল ।

তবে কদিন আগে তীব্র খরার পর ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত আম গাছগুলোক তরতাজা করেছে। এতে পরিপক্কতার পাশাপাশি আমের আকার দ্রুত বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেপারিরাও বাগানের দরদাম হাঁকছেন। বাগান মালিকরা গেল বছরের চেয়ে এবার বেশি আম আশা করছেন।

এক বাগান মালিক বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে আমের ফল ভালো হয়েছে, এবং আমের উপকারিতা বেড়েছে।

আরেক বাগান মালিক বলেন, ঢাকা থেকে অনেক পাইকার এসে আমাদের বিভিন্ন বাগানের ঘুরছে এবং আমের দাম হাকছে।

খরা প্রবণ বরেন্দ্র এলাকায় প্রতি বছর বাড়ছে আমের বাগান। আমের অধিক ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন বাগান মালিকরা ।

এক বাগান মালিক বলেন, আমের ফলন আমাদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধি করেছে।

জেলার ব্যবসায়ী নেতা জানান, এখানে দ্রুত আম বাগান বাড়ছে, এবার অন্তত আড়াইশো কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।

নওগাঁ চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আরো অধিক মুনাফা অর্জন করবো। এবং এবার প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার আম বিক্রি করতে পারবো আমরা।

জেলা প্রশাসন বলছে, চলতি মাসেই ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের সাথে সভা করে আম নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আমের বাগান এবং আমের আড়ৎ আমরা পরিদর্শ করছি। আমরা খুব শিগরিরই সকলের সাথে বসে আম পাড়ার একটা সিদ্ধান্ত করবো।

নওগাঁ সাপাহার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামসুল আলম শাহ বলেন, বাগানগুলোতে যেন কেমিক্যাল বা রাসায়নিক মিশাতে না পারে সে জন্য পুলিশ তৎপর আছে। আমি আশা করছি, বিগত বছরের চেয়ে এবার বাগানের আম পরিপূর্ণভাবে পাকার পর বাজারে আসবে।

এবার জেলার ১৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির বাগান থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ ।