বিশ্বকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ভেনেসা লিওন
![]() |
প্রথম মেক্সিকান হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট মাথায় পরে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভেনেসা পনসে দে লিওন।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে চীনের সানইয়াহ শহরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১১৮ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বিচারকরা লিওনকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’র ৬৮তম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাঁচ ফুট, আট ইঞ্চি উচ্চতার এই রমণী সবসময় নিজের চোখে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
ভেনেসা গুয়ানাজুয়াতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে স্নাতক করেছেন। এছাড়াও মানবাধিকার বিষয়ে তিনি ডিপ্লোমা করেছেন।

২৬ বছর বয়সী এই সুন্দরী শোবিজে কাজ করার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে নারীদের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে তিনি কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ‘নেনেমি’ নামের একটি স্কুলেও কাজ করেন ভেনেসা। যেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের আন্তঃসংস্কৃতির ওপর শিক্ষা দেওয়া হয়।
নিজেকে নিয়ে ভেনেসা বলেন, আমি অন্যকে সাহায্য করাতে বিশ্বাসী। আমি কঠোর পরিশ্রমী এবং দিনের আলোতে স্বপ্ন দেখি। আমার সঙ্গে যাদেরই দেখা হয় সব সময় আমি তাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টায় মগ্ন থাকি।
মডেলিংয়ের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন দুই বছর ধরে। তবে তিনি দীর্ঘদিন অবহেলিত-পুনর্বাসিত মানুষদের নিয়ে কাজ করছেন। তার ভাষ্যে-এটি পুরোপুরি ভিন্ন রকম একটি কাজ। আমি পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসা মেয়েদের নিয়ে কাজ করি। এই কাজটি করতে অনেক ভালোবাসি। প্রত্যেকেরই জীবনে অন্তত একবারের জন্য হলেও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা উচিত। আর তা করতে পারলে আপনি সত্যিই অনেক আনন্দিত হবেন।
ভেনেসা ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। অবসর সময়ে তিনি ভলিবল ও ফ্রিজবি খেলেন। তাছাড়া তিনি চমৎকার ছবিও আঁকতে পারেন।

ভেনেসা ১৯৯২ সালের ৭ মার্চ গুয়ানাজুয়াতোর রাইসড শহরে জন্মেছেন। এর আগে ২০১৪ সালে মেক্সিকোর নেক্সট টপ মডেল’র পঞ্চম সিজনের বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
Post a Comment