Header Ads

"বেকার যুবক"

দিন শেষে বেকার ছিলেটি
চাকুরি না পেয়ে হতাশায়
বিভর হয়ে শহরের
রাস্তায়-রাস্তায় ঘোরাফেরা
করছিলো। কিছু দূর যেতেই
ছেলেটি পার্কের বেঞ্চে বসে
নিজেকে কিছুটা আড়াল
করে আকাশের দিকে
চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ।
এরপরে যা ঘটলো,
ছেলেটির চোখে মুখে পানি
এমনকি তার পরনের একমাত্র
সার্ট তার চোখের পানিতে
ভিজে ঝপ ঝপ করছিল।
ছেলেটি ঠিক বুঝতে পারছিলো না, সে কি করবে?
এমনকি তার পকেটে খুব বেশি টাকা ও ছিলো না।
তার পেটে প্রচুর ক্ষুদা। সে ভাবছিলো তার কাছে
যেই টাকা আছে সেই টাকা দিয়ে সে হোটেলে
কিছু ডাল ভাত খাবে নাকি, গাড়ি ভাড়া দিয়ে
বাসায় যাবে। এদিকে তার পেটে ক্ষুদার তাড়নায়
বার বার এল্যাম দিচ্ছিলো। অতঃপর ছেলেটি
রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে একটি কলা আর
একটি পাউরুটি নিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে
খেয়ে ফেলল সাথে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে
দোকানদার ভাইকে তার বিল টা দিয়ে দিলো।এবার
তার পকেট খালি। তার কাছে আর কোন টাকা
ছিলো না।এবার সে রাস্তার ফুটপাত বেয়ে আস্তে
আস্তে হাঁটতে শুরু করলো।হয়তো ছেলেটি বাসায়
পৌঁছেছিল....
কিন্তু একটু ভেবে দেখুন
এই বেকার ছেলেটির মতো শহরের রাস্তায় রাস্তায়
হাজারো বেকার ছেলে চাকুরী না পেয়ে হতাশায়
বার বার বুকের বাঁ পাশে আর্তনাদের যন্ত্রনায়
ভুগতেছে। মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করার পরেও যখন
বেকার ছেলেটি না পাচ্ছে ভালো চাকুরী না
পারতেছে মা বাবার বুক ভরা স্বপ্ন টা পূরন করতে।
এভাবেই প্রতিনিয়ত হাজারো যুবকের স্বপ্ন যেমন
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি বুকের বাঁ পাশের
ঘরটায় কষ্টের পাহাড় গড়ে উঠতেছে।ইট পাথরের এই
শহরে এই রকম পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ানোর মতো
কেউ নেই।
.
পরিশেষে একটি কথায় বলবো,
চাকুরী না পেয়ে কখনোই হতাশাগস্ত্র হবেন না।
একটি কথা সব সময় মাথায় রাখবেন, হেরে যাওয়ার
প্রবনতা কে আমাদের মধ্যে থেকে দূর করতে হবে।
আমরা একটি কাজ করার আগেই হাল ছেড়ে দিই।
.
একজন বিজ্ঞানীর কথায় বলি, তার নাম "টমাস
আলভা এডিসন"
ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল
থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে তাকে। তিনি বার
বার ব্যার্থ হয়েছেন তারপর ও হাল ছেড়ে দেন নি।
পৃথিবী তিনি আলোকিত করেছেন তার আবিষ্কার
দিয়ে।
- তার নাম "টমাস আলভা এডিসন"
.
.
বিদ্রঃ আশা করি এটা সকলেই মনোযোগ সহকারে
পড়বেন। এটা কারো কাছে ফালতু গল্প মনে হতে
পারে, আবার কারো চোখের কোনে অশ্রু ও জমতে
পাড়ে।যদি এই গল্পটি পড়ে একটুও কষ্ট পান তাহলে
আর একটু কষ্ট করে ক্ষমা করে দেবেন। আর ভালো
লাগলে অবশ্যই জানাবেন।
গল্পটি লিখেছেন
"রাহসান আহম্মেদ হালিম"

No comments